Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পরিবার পরিকল্পনা

পরিবার পরিকল্পনা হল সঠিক সময় সন্তান নেবার পরিকল্পনা[১] এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ [২] ও অন্যান্য পদ্ধতির যথাযত প্রয়োগ নিশ্চিতকরন। অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে যৌন শিক্ষা, যৌন সংক্রামকসমুহের নির্গমন প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা। পরিবার পরিকল্পনাকে অনেক সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণের সমার্থক হিসেবে চিহ্ণিত করা হয় যদিও পরিবার পরিকল্পনার পরিধি আরও বিশদ। এটা সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে করা হয় যারা তাদের সন্তান সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত রাখতে চায় এবং তাদের প্রত্যাশিত সময় গর্ভধারন করতে চায়।

‘দ্য পিল’: সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে আবিস্কৃত হয় এবং সেই দশকে পরিবার পরিকল্পনায় ব্যাপক অবদান রাখে

পরিবার পরিকল্পনা সেবা বলতে শিক্ষাগত, ব্যাপক স্বাস্থ্য ও সামাজিক কমসূচীকে বোঝায় যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের সন্তান সংখ্যা ও দুই সন্তানের ব্যবধান সম্পর্কে স্বাধীনভাবে সিধান্ত নেবার যোগ্যতা অর্জন করে।[৩]


উদ্দেশ্য

সন্তান সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে সময়, সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পরিবার পরিকল্পনার গ্রহণ করায় এসকল সম্পদের সার্থক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীকে বসবাসের অনুপোযোগী এবং সমস্যা সংকূল করে তুলছে। তাই সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ অথবা পরিমিত সন্তান জন্ম দান করে পৃথিবীর ভারসাম্য আনায়নে পরিবার পরিকল্পনা আবশ্যক।

মায়ের বয়স অন্তত ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সন্তানের স্বাস্থ্য ও মাতৃস্বাস্থ্য ভাল থাকে। মাতৃত্ব সংক্রান্ত মৃত্যুর হার কমে আসে এবং পরিকল্পিত সন্তান বেশি মেধাবী ও স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন  পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বেচ্ছাসেবী গণ। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগনকে পরিবার পরিকল্পনার সুফল সম্পর্কে বুঝান ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে উতসাহ দেন।  তাছাড়া উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা গন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র তে সেবা প্রদান করেন।  সারাটা ইউনিয়নে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপালন কারীদের সার্বক্ষণিক সহায়ক সুপারভিশন করেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক বৃন্দ। এবং সারা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করেন একজন ১ম শ্রেণির  কর্মকর্তা -" উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।"


পরিবার পরিকল্পনা

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর স্থায়ী ও অস্থায়ী সাতটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছে তাদের বুকলেটে। এগুলো হলো- খাবার বড়ি, কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট, আইউডি, ভ্যাসেকটমি ও টিউবেকটমি। এর মধ্যে ভ্যাসেকটমি বা এনএসভি পুরুষদের স্থায়ী পদ্ধতি ও টিউবেকটমি বা লাইগেশন মেয়েদের স্থায়ী পদ্ধতি।

মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের কার্যক্রম-

মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির গুরুত্ব জনগণের সামনে আলোচনা, কিশোর কিশোরীর স্বাস্থ্য সেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন, বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রাম  সফল করতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।